ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া এলাকায়।৷
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে আসায় শাখা ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া এবং আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাম্পাসে আসেন। তারা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর, সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ এবং “সুপার ফাইভ” গ্রুপের অন্য নেতাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অবস্থান করছিলেন। অন্যান্য নেতা-কর্মীরা তখন ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়।
এর কিছুক্ষণ পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি দল বাইক শোডাউনের মাধ্যমে ক্যাফেটেরিয়ার নিচে আসে এবং অভিযোগ তোলে যে সেখানে কিছু বহিরাগত রয়েছে—যাদের তারা ধাওয়া দেন। পরে তারা শিক্ষক লাউঞ্জে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের অনুসারীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং গালিগালাজ ও হাতাহাতির মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৮ আগস্ট শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি এবং হল কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, এবং সংগঠনের পুরনো ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একদল নেতা-কর্মী লাগাতার শোডাউন করে আসছিলেন। অন্যদিকে, কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে টানা নয়দিন ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি।
এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় নেতারা রোববার ক্যাম্পাসে আসেন এবং তাদের সঙ্গে শাখা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত হন।
ঘটনা সম্পর্কে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন বাবর বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে সংগঠনের বহিষ্কৃত কিছু নেতা-কর্মী রয়েছে, যাদের সঙ্গে একটি স্বার্থান্বেষী মহলও জড়িত।