দখলকৃত পশ্চিম তীরে একটি খামারের ২৬২টি কুমির হত্যা করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। পেটজায়েলের অবৈধ বসতির কাছের ওই খামারটিতে কুমিরগুলো লালন-পালন করা হচ্ছিল। গত সপ্তাহে নিরাপত্তার অজুহাতে সৈন্যরা সরীসৃপগুলোকে হত্যা করে।
মিডল ইস্ট আইয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে নীল নদের কুমিরকে একটি সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জর্ডান ভ্যালি নামের খামারটির মালিক ড্যানি বিতান বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এটিকে এক ধরনের হত্যা উপত্যকা তৈরি করেছে। তারা কেবল নির্বিচারে হত্যা করছে।’
খামারটি ১৯৯০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০০০-০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলি সামরিক ইউনিট সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দাবি করে, ‘ফার্মে থাকা নীল নদের কুমিরগুলোকে পরিত্যক্ত একটি স্থানে অমানবিকভাবে রাখা হচ্ছিল, যা পশু নির্যাতনের শামিল। খাবারের অভাবেও তারা একে অপরকে খেতে শুরু করেছিল। পশু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের জরুরি মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত (কুমিরগুলোকে হত্যা করার) নেওয়া হয়েছে।’
একজন নিরাপত্তা সূত্র ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটকে বলেন, ফার্মের মালিক কম্পাউন্ডটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে সেটি আশপাশের বসতির জন্য ‘গুরুতর হুমকিতে’ পরিণত হয়।
ইসরায়েলের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কান ১১-এ প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে, খামারের চারপাশে কুমিরের মৃতদেহ ও গুলির খোসা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ইসরায়েলি প্রাণী সুরক্ষা সংস্থা লেট দ্য অ্যানিম্যালস লিভ কুমির হত্যার তীব্র সমালোচনা করেছে। সংস্থাটি বলেছে, এটি একটি হিংসাত্মক এবং নিষ্ঠুর প্রাণী হত্যা, যা সমস্ত নৈতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করে। এটি এমন একটি কাজ, যা প্রাণী সুরক্ষার জন্য ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এবং প্রাণী সুরক্ষা আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। কে এই হত্যার আদেশ দিয়েছে এবং কে অনুমোদন দিয়েছে তা বের করতে অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত।